রাষ্ট্র ও সমাজের বহুক্ষেত্রে বিজয়ের ৪৯ বছরে অনেক সফলতা ও অগ্রগতির গৌরব তৈরি হলেও দুর্নীতির ক্ষেত্রে যেন অসন্তুষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের চেতনা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। কিন্তু বাংলাদেশের বিজয়ের ৪৯ বছর পূর্তির সময়ও অঙ্গিকার আর প্রাপ্তির মধ্যে অর্জন ও দূরত্বটা রয়েই গেছে।’
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্টা স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব থেকে শুরু করে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিকতা ও চর্চা বারবারই বাধা হয়েছে। আগামী বছর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে মেতে ওঠার আগে এসব অপূর্ণতার অনেকটুকুই জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বিজয়ের ৪৯ বছর পরও প্রশ্ন জাগে- আমাদের সংবিধানে সন্নিবেশিত মৌলিক অধিকার ভোগ করতে না পারা নিয়ে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টালে এবং টেলিভিশনের খবর দেখলে দুর্নীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদের এত আকালের খবর তো অকারণে জায়গা পাওয়ার কথা নয়। এক্ষেত্রে সবার মনে রাখা উচিৎ- রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকার দুর্নীতি নির্মূলে কতটুকু আন্তরিক ও সচেষ্ট তার ওপরই নির্ভর করে দেশে সত্যিকার অর্থে সুশাসনের চিত্র কি।’
তারা বলেন, ‘যেখানে সুশাসন নেই, মৌলিক অধিকার নেই, মানবাধিকার নেই, আইনের শাসন নেই, বাক ও বিবেকের স্বাধীনতা নেই, বিরোধী দলের মর্যাদা নেই- সেখানকার মানুষ কোনোভাবেই সুখ, শান্তি বা নিরাপদে থাকতে পারে না। এই চিত্র পাল্টে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনেক অনুসরণয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারলে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক বিশাল বিজয় হবে বলে জাতি বিশ্বাস করে।’